মুরাদনগরে সরিষায় স্বপ্ন দেখছেন চাষি

আরিফ গাজী :

সরিষার জন্য অনুকূল আবহাওয়া হওয়ায় বেড়ে ওঠা গাছ আর ফুল দেখে অধিক ফলনের স্বপ্ন দেখছেন কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার সরিষা চাষিরা।

এবার উপজেলায় রেকর্ড পরিমাণ জমিতে উন্নত জাতের সরিষা চাষ হয়েছে। উপজেলার অধীকাংশ জায়গার প্রকৃতি এখন হলদে চাদরে ঢাকা। হলুদ রং আর মিষ্টি সুবাসে ভরে গেছে সরিষার ক্ষেত। স্বল্প খরচে চাষ করতে পারায় কৃষকের মাঝে এ ফসলটি এখন খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলার শ্রীকাইল, যাত্রাপুর, বাঙ্গরা পশ্চিম, রামচন্দ্রপুর উত্তর, রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ, কামাল্লা ও মুরাদনগর সদর ইউনিয়নে ৫ হাজার ৬১৭ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। ফলে অনুকূল আবহাওয়ায় বজায় থাকলে সরিষার বাম্পার ফলন ও ভালো দামে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন চাষিরা।

শ্রীকাইল ইউনিয়নের রোয়াচালা গ্রামের সরিষা চাষি জসিম উদ্দিন বলেন, গত বছর দুই বিঘা জমিতে সরিষার চাষ করে লাভবান হওয়ায় এ বছর তিন বিঘায় সরিষা চাষ করেছেন। সরিষার ফুল দেখে ভালো ফলনের আশা করা হচ্ছে। ন্যায্য মূল্য পেলে এবার লাভবান হওয়ার বিষয়ে আশাবাদী।

চাষি আলমগীর হোসনে বলেন, এবার ৫ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছি। শুরুতে ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’ এর কারণে ফসল নষ্ঠ হয়ে যায়। পরে কৃষি অফিসের পরামর্শে সকলেই দ্বিতীয় বার সরিষা চাষ করি। এখন পর্যন্ত জমিতে কোনো সমস্যা দেখা যায়নি। বরং সুন্দর আর স্বাস্থ্যবান বীজের দেখা পাওয়া যাচ্ছে। আশাকরি সকল খরচের পরে ভালো ফলন পেয়ে লাভবান হতে পারব।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাইন উদ্দিন আহমেদ জানান, কৃষকদের যথার্থ পরামর্শ ও পরিচর্যার বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। অন্যান্য বছর ‘বারি ১৪’, ‘বিনা-৯ ও ‘বিনা-৪ জাতের সরিষা বেশি চাষ হতো। এ বছর চাষিরা যেন অধিক লাভবান হতে পারে সেজন্য ‘বারি ১৭’ এর পাশাপাশি প্রায় ৩শ জন চাষিকে সুপার কোয়ালিটি ‘বারি ১৮’ জাতের সরিষার বীজ দেয়া হয়েছে।

সারা দেশের ন্যায় কৃষকের মাঝে তেল ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় ৫৯টি ও ডাল, তেল, মসলা বীজ উৎপাদন প্রকল্পের আওতায় ৯টি প্রদর্শনী দেয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত সার্বিক আবহাওয়া অনুকূল থাকায় সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।

     আরো পড়ুন....

পুরাতন খবরঃ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
error: ধন্যবাদ!